লালমাই প্রতিদিন, প্রকাশ,১৫ এপ্রিল রবিবার ২০২৪ ইং
বাংলাদেশ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে লড়বেন চার প্রার্থী।
এরা হলেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আবুল কালাম, জাকের পার্টির গোপালঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব মোল্লা, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য এম নিজাম উদ্দিন লস্কর ও গণফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা লিমা রহমান।
গত সোমবার গোপালগঞ্জ-৩ আসনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য চার প্রার্থীকে চেনেন না কোটালীপাড়াবাসী। এমনকি এলাকার ভোটারগণ এসব প্রার্থীর নামও কোনো দিন শোনেননি।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার কাছে পরিচিত ও উন্নয়নের রূপকার হিসেবে ভোটারগণ তাকে ভোট দিয়ে পুনরায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে সপ্তম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবার তিনি অস্টম বারের মতো সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য নির্বাচন করছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, অন্যান্য বারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আসন থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। তারা মনে করছেন, যে চার জন প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে নির্বাচন করছেন, তারা সবাই জামানত হারাবেন।
কোটালীপাড়া উপজেলার পূর্ণবর্তী গ্রামের ব্যবসায়ী ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে যে চার জন প্রার্থী নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে, আমরা তাদেরকে কোনোদিন দেখিনি। এমনকি এদের নামও আমরা শুনিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৫ বছরে আমাদের কোটালীপাড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আমি মনে করি, কোটালীপাড়ার শতভাগ ভোটারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবেন।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই আসন থেকে এ বছর অষ্টম বারের মতো নির্বাচন করছেন। এর আগে তিনি এ আসন থেকে সাত বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চার বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিগত নির্বাচনগুলোতে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে যারা নির্বাচন করেছেন, তারা সবাই জামানত হারিয়েছেন। আশা করছি এবছরও এই চার প্রার্থী তাদের জামানত হারাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জাকের পার্টির গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব মোল্লা বলেন, ‘আমাদের দল থেকে দেশের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ২১৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমি আমার দলের প্রধান পীরজাদা মোস্তফা আমির ফয়সালের নির্দেশে গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচন করছি। তার নির্দেশে আমাকে নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত নির্বাচনি মাঠে থাকতে হবে। এখানে আমি কয় ভোট পেলাম, সেটি বড় বিষয় নয়। দলের প্রধান যদি মনে করেন আমাকে নির্বাচনি মাঠ থেকে সরে যেতে হবে, তাহলে আমি নির্বাচনি মাঠ থেকে সরে যাব।’
হাওড়ের বাতিঘর ৭১
মিঠামইন অল ওয়েদার সড়কের জিরো পয়েন্টে তিনটি সড়কের মিলনস্থলে তৈরি হচ্ছে একটি সড়কদ্বীপ (হাওড়ের বাতিঘর ৭১) বা ব- দ্বীপ। ত্রিভুজ আকৃতির এই ব-দ্বীপ ক্রমশ উপরের দিকে ধাবিত হওয়া উন্নয়নের একটি শ্বাশত বাতিঘর হিসেবই মিঠামইনকে চিরদিন এগিয়ে নিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা ।স্থাপনাটি ত্রিভুজ আকৃতির জন্য সড়কের যে কোনো দিক থেকেই তা দৃশ্যমান হবে। বিশাল জলরাশির অনেক দূর থেকে এটিকে দেখাও যাবে।
স্থাপনাটির তিনপাশে সড়কের মুখোমুখি বিগত দুই মেয়াদের বিশ্ব নন্দিত মাননীয় রাষ্ট্রপতি জনাব আবদুল হামিদ , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ তিন জনের ম্যুরাল থাকবে। রূপক অর্থে এ তিনজনই আমাদের বাতিঘর।স্থাপনাটির গাত্রে ঊর্ধ্বমুখী তীর চিহ্ন (হাওরের উন্নয়ন) এবং উপরে বৈদ্যুতিক অনির্বাণ আলোর বিচ্ছুরণ থাকবে। দিনে এবং রাতে দুই ধরণের পরিবেশের কথা ভেবে তৈরি করা হচ্ছে এই আলোর প্রভা।খুবই দৃষ্টিনন্দন হবে।
আমাদের এ হাওড় বাতিঘর ৭১ এর উচ্চতা সর্বসাকূল্যে ৭১ ফুট রাখা হয়েছে স্বাধীনতার বছর ১৯৭১সালের কথা স্মরণে আসার জন্যই।স্থাপনাটির চারদিকে ১০০ ফিট ব্যাসের একটি গোলাকার স্বল্প উচ্চতার পোড়ামাটির নক্সিফলক- খচিত দেয়াল,হবে মুজিব জন্ম শতবর্ষের স্মৃতি। মূল স্থাপনাটি ৫২ ফিটের সমকোণী ত্রিভুজ, যা আমাদের ভাষা আন্দোলনের বছরের(১৯৫২ সাল) প্রতীক হিসেবে স্মৃতি বহন করবে।হাওড়ের বাতিঘর ৭১ স্থাপনাটি ৭১ ফিট উচ্চতা অর্জন করেছে পর্যায়ক্রমিক ৪টি ধাপে।
১ম ধাপের উচ্চতা বেদীসহ ২১ ফিট- যা আমাদের ভাষা আন্দোলনের প্রেরণা থেকে উজ্জীবিত।ভাষা শহীদদের কথা স্মরণ করবে।২য় ধাপ ১ম ধাপ হতে ২৬ ফিট উচুতে– যা আমাদের স্বাধীনতা দিবসের প্রতীক বহন করবে। ৩ ধাপ ২য় ধাপ হতে ১৬ ফিট উচুতে– ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিক নির্দেশ করবে। ৪র্থ ধাপ ৩ ধাপ হতে ১১ ফিট উচ্চতা মুক্তিযুদ্ধের ১১ টি সেক্টরের প্রতীক যা বাংলাদেশকে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা স্মৃতি বহন করবে। হাওড়ের বাতিঘর ৭১ এ ৩ দিক হতে সাতটি করে পর্যায়ক্রমিক বাতি প্রজ্বলিত থাকবে যা আমাদের ৭ বীরশ্রেষ্ঠ এর সাথে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের মহিমা প্রকাশ করবে।
নির্মাণাকারী সংস্থার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানলাম আগামী মার্চ ২৪ এ এটি উদ্বোধন হতে পারে। কাজ প্রায় শেষ। উদ্বোধনের পর যে বা যারা যখনই অলওয়েদার সড়ক বা এই ‘হাওড় বাতিঘর-৭১’ পরিদর্শন করতে আসবেন বর্ণিত তথ্যগুলি মিলিয়ে নেবেন তাহলেই স্বাধীনতার স্বাদটা পুরোপুরি অনুভূত হবে এবং ভ্রমণ সার্থক হবে ।
বাণিজ্যসচিব বলেন, শ্রম অধিকারের ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে নতুন শ্রমনীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী শ্রম পরিবেশের আরও উন্নতি হোক। বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
সভায় পররাষ্ট্র, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘কারও দয়ায় নয়, পণ্যের গুণগত মান, আন্তর্জাতিক চাহিদা ও শ্রমিক অধিকার রক্ষা করেই তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দ্বিবার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের শ্রম আইনে শ্রম অধিকারের যেসব বিষয় আছে, তার মধ্যে বেশ কিছু পরিপালন করা হয়েছে। তবে তারা চায় আরও অগ্রগতি হোক।
বাণিজ্যসচিব বলেন, তৈরি পোশাক খাতে নতুন ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা হয়েছে; জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এ ছাড়া শ্রমিক কল্যাণে আরও কী করা যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশের কিছু শর্ত ছিল। শ্রম আইন ও বেজা আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে চাওয়া ছিল, তা অনেকটাই পূরণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে তিনবার শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে।
সভাসূত্র জানায়, সভায় কর্মক্ষেত্রে শ্রমমান, শ্রম আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি, শ্রম অধিকার ও ন্যায্য মজুরি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী ও সম্পাদক জাকির হোসেন কবিরের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পরিচয় করিয়ে দেন শাহজাহান ওমর।
আমি এবং বিএনপির দলবলসহ আপনাদের মেহমান। আমদের বরণ করে নেবেন। আমরা শিক্ষিত লোক, আমাদেরকে সম্মান করলে আপনাদেরকেও সম্মান করব।’
শাহজাহান ওমর গত ২৯ নভেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পান। ৩০ নভেম্বর তিনি গণভবনে গিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ খবরে শাহজাহান ওমরকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গতকাল রবিবার ঝালকাঠির রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন কবির বলেন, ‘আমি যে দলই করি না কেন, শাহজাহান ওমরকে পছন্দ করি। ব্যক্তিগতভাবে তাঁর নির্বাচন করব। তাঁর নির্বাচনী মাঠে থাকবো বলেই সমাবেশে গিয়েছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া সিকদার বলেন, ‘দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, তাকে নিয়ে মাঠে থাকবো আমরা। শাহজাহান ওমর সাবেক আমাদের ডেকেছেন, আমরা তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী সভা করেছি। বিএনপির কেউ তাঁর সঙ্গে নির্বাচন করলে অসুবিধা কোথায়।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে লড়বেন ফেরদৌস আহমেদ। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক শুভেচ্ছা-অভিনন্দন পাচ্ছেন অভিনেতা। এবার ফেরদৌসকে সংর্বধনা দেবেন তাঁর চলচ্চিত্রের সহকর্মীরা।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এই সংবর্ধনা দেওয়া হবে, জানিয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার।