Home » প্রকল্পের মেয়াদ শেষ ঝুলে রয়েছে কুমিল্লা নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ ঝুলে রয়েছে কুমিল্লা নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ

by Lalmai Protidin
৮৪ views
A+A-
Reset

অরুণ কৃষ্ণ পাল (লালমাই প্রতিনিধি) কুমিল্লা নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজের কোন অগ্রগতি নেই। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে এমতাবস্থায় ঝুলে রয়েছে সড়কের কাজ।

ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘদিন শেষ হচ্ছেনা কুমিল্লা- নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ এই পর্যন্ত তিন তিন বার বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ তবুও, কাজ শেষ করতে পারেনি কতৃপক্ষে! ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শুরু হয়েছিল সড়কটির ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৬ বছর ১ মাসেও কাজ শেষ করতে পারেনি সড়ক ও জনপদ বিভাগ। তারমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ।

নানান সংকট নিরসন করে কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি, কুমিল্লার টমচমব্রিজ থেকে নোয়াখালি বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কি. মি. সড়কের প্রায় ৯৭% শতাংশ শেষ হলেও ঝুলে রয়েছে লালমাই উপজেলার বাগমারা, শানিচোঁ ও লাকসামের কিছু অংশের কাজ দীর্ঘ সময় ধরেও সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তির কবলে পড়তে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের। ধুলোবালিতে নাকাল মানুষের জনজীবন।

সংশ্লীষ্টরা জানান, ২০০৬ সালে বাগমারা বাজার এলাকায় ভূমি অধিগ্রহন জটিলতা নিয়ে আদালতে একটি রীট করা হয়েছে যা জানতো না সড়ক বিভাগ। তাছাড়া, লালমাই উপজেলার ১.৮ কি.মি শানিচোঁ এড. আবদুল বাসেত মজুমদারের বাড়ির পাশে ১.৬ কি. মি এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা রয়েছে। জানা যায়, মামলা সংক্রান্ত জটিলতা শেষ হয়েছে আরো আগে তবুও অধিগ্রহণ জটিলতা যেন অদৃশ্য শক্তি।

এছাড়াও লাকসামে এপিপি এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪.৫ কি. মি. সড়কে তৈরি হবে ওভারপাস। সেই ওভারপাস তৈরি হলে তার উপরে ফোর লেইন কাজ নির্মান করা হবে বলে বহু আগেই জানিয়েছেন সওজ কর্তৃপক্ষ!

সিএনজি চালক হান্নান বলেন, আমি প্রতদিন লাকসাম থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত যাতায়াত করে থাকি কিন্তু বাগমারা বাজারে আসলে অনেক সময় দীর্ঘ ১ থেকে দেড় ঘন্টা জ্যামে পড়ে থাকতে হয় যার কারনে নিয়মিত ভাবে মালিকের ভাড়ার টাকাও দিতে কষ্ট হয়।

পিকাপ ভ্যান চালক কাউসার বলেন, পিকাপের ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন সময় নিমশার বাজার থেকে কাঁচামাল নিয়ে লাকসাম, নোয়াখালী যেতে হয় তবে, বাগমারা বাজারের জ্যামের কারনে সঠিক সময়ে গন্তব্য স্থানে পৌছাতে পারিনা যার কারনে প্রতিনিয়ত আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বৃহত্তর বাগমারা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম বলেন, রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার কারনে এখন আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে যানযট যার ফল হিসেবে কষ্ট দুর্দশা সহ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি আমরা।

কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, আমি যতটুকু জানি অলরেডি বিষয়টা ভূমি অধিগ্রহন পক্রিয়ায় রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে তা সঠিক টাকাও চলে গিয়েছে কিন্তু বিষয়টা সবাই জানে আশা করছি ভূমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া হওয়ার সাথে সাথে সরকার আমাদের টাকা দিবে। এবং আমরা কাজ শুরু করে দেবো।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাবিরুল ইসলাম খান বলেন, অধিগ্রহণ পক্রিয়া চলমান রয়েছে। বাগমারা পর্যায়ের অধিগ্রহণের বিষয়টা আমরা সিলবুক কমপ্লীট করেছি মন্ত্রনায়ে প্রেরন করেছি, মন্ত্রনালয় আবার আমাদের কাছে বিষয়টা নেগেটিভ করে পাঠিয়েছে। আমরা আবার চিটিতে কেন বিষয়টা পজেটিভ হবে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছি এবং মন্ত্রণালয় প্রেরন করেছি আশা করছি বিষয়টা পজেটিভ আসবে।

You may also like

Leave a Comment

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More