মোহাম্মদ আবদুল মতিনঃ লালমাই প্রতিদিনঃ কুমিল্লার লালমাইয়ের অধিকাংশ স্থান বন্যার পানিতে ডুবে গেছ। ডুবে গেছে বাড়ীঘর, ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ। মানুষ স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ও সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে সন্তান সন্ততি নিয়ে। কেউ বা আবশ্যকিয় সরঞ্জনমাদি মাথায় নিয়ে পানি ভেঙ্গে আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে।
এমন বন্যা এ শতাব্দিতে আর কখনো কেউ প্রত্যক্ষ করেনি বলে জানিয়েছে বেলঘর দক্ষিন ইউনিয়নস্থ আজবপুর গ্রামের অশীতিপর এক বৃদ্ধ। দুইদিন ধরে বিদ্যূৎ না থাকায় রাতের বেলায় বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলোর ভোগান্তি চরমে। মোবাইলে চার্জ দেয়া যাচ্ছেনা বলে মোবাইলে ফোন বন্ধ থাকার ফলে কারো সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে নিজের আর্তির কথা জানাতে পারছেনা কেউ।
অধিকাংশ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। যানচলাচল বন্ধ। চরম অসাহায়াত্বকে বরণ করে মানুষ দিন যাপন করছে এখানে। চাষীদের স্বপ্নের ফসল পেকে যাওয়া আউশ ধান ভারি বর্ষন ও উজানের পানিতে ডুবে গেছে। ধানের মাঠ পানিতে থই থই করছে। সাধারনতঃ এ অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পুরাতন ডাকাতিয়া ও নতুন ডাকাতিয়া খালের মাধ্যমে বৃষ্টি ও অন্যান্য উৎসের পানি নিষ্কাশিত হয়ে থাকে। এবার ভারি বর্ষন ও উজানের পানির অত্যধিক চাপের কারনে উক্ত দুই খালের পানি খুব মন্থর গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে ।
বৃষ্টিপাত বন্ধ না হলে সহসা এ দূর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন হবে। এ দিকে সরকারি ত্রান সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও কেউ কেউ ত্রান সামগ্রী নিয়ে বন্যার্তদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। চালচুলো হারা এসব অসহায় মানুষ রান্নাবান্না নিয়ে চরম সঙ্কটে রয়েছে। বন্যা উপদ্রুত এলকায় শুকনো অথবা তৈরী খাবার সরবরাহ করা খুবই জরুরী।